কুষ্টিয়ার বিশাল কর্মী সমাবেশে ক্ষমতায় গেলে যুব সমাজকে দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়বো - ডা. শফিকুর রহমান
কুষ্টিয়ার বিশাল কর্মী সমাবেশে ক্ষমতায় গেলে যুব সমাজকে দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়বো - ডা. শফিকুর রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে আমরা এমন একটা জাতি গড়বো; তখন ইনশাআল্লাহ এই দেশের মানুষ আর বিশ্বে কোথাও চাকরির জন্য যাবে না। যেভাবে ১৭৫৭ সালের আগে বিশে^র মানুষ এদেশে আসতো চাকরির জন্য। এই দেশ আবার পুরনো গৌরব ফিরে পাবে। আমরা সেই গৌরবটা ফিরিয়ে আনতে চাই। ০৪ জুলাই ২০২৪ শনিবার কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জেলা কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান ‘মদিনা সনদ’ এর মাধ্যমে দেশ পরিচালনার অতীত ইতিহাস স্মরণ করে দিয়ে বলেন, আল্লাহর সংবিধান ‘মদিনা সনদ’ সবাইকে সমঅধিকার দিয়েছে। আধুনিক রাষ্ট্রের প্রথম সংবিধান হচ্ছে ‘মদিনা সনদ’। ‘মদিনা সনদ’ এর এক থেকে পাঁচ নম্বর ধারা পর্যন্ত প্রত্যেকটি ধারায় মানুষের অধিকার সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে কোন নাগরিকের অধিকার বিভক্ত করা যাবে না। ইসলাম ধর্মে কারোর ওপর জুলুম চালানোর সুযোগ নেই। সকল ধর্মের নাগরিক নির্বিঘেœ ব্যবসা করতে পারবে। বাইরে থেকে যদি আক্রমণ করা হয় মুসলমানদের দায়িত্ব হবে তাদের পক্ষ নিয়ে লড়াই করা। আমরা সেই বাংলাদেশ চাই।
কুষ্টিয়া জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি সুজা উদ্দিন জোয়ারদার এবং পৌর আমীর মো. এনামুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সদস্য সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যক্ষ খন্দকার এ কে এম আলী মুহসিন, ড. আলমগীর বিশ্বাস, মাওলানা আবদুল মতিন, ঝিনাইদহ জেলা আমীর আলী আজম মোহাম্মদ আবু বক্কর, পাবনা জেলা আমীর আবু তালেব মন্ডল, মেহেরপুর জেলা আমীর, তাজউদ্দিন খান, মাগুরা জেলা আমীর এবিএম বাকের, চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর এডভোকেট রুহুল আমীন, রাজবাড়ী জেলা আমীর এডভোকেট নুরুল ইসলাম, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইমরান হোসাইন ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী রবীন্দ্র নাথ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা নায়েবে আমীর আব্দুল গফুর, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মো. সোহরাব উদ্দিন, মো. খায়রুল ইসলাম রবিন, অধ্যাপক মাজহারুল হক মোমিন, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসাইন, ছাত্রশিবিরের ইসলামী বিশ^ািবদ্যালয়ের সভাপতি মো. আবু মুসা, কুষ্টিয়া শহর সভাপতি হাফেজ সেলিম রেজা, মিরপুর উপজেলা আমীর মাওলানা খন্দকার রেজাউল করিম, দৌলতপুর উপজেলা আমীর মাওলানা বেলাল উদ্দিন, কুমারখালী উপজেলা আমীর আফতাব উদ্দিন, ভেড়ামারা উপজেলা আমীর মো. জালাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা শরিফুল ইসলাম, খোকসা উপজেলা আমীর মো. নজরুল ইসলাম, ইবি থানা আমীর মো. রফিকুল ইসলাম, পেশাজীবী থানা সভাপতি মাহবুবুর রহমার হামীম, শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি এস এম মুহসিন প্রমূখ।
আমীরে জামায়াত বলেন, বাংলাদেশের মাটি অত্যন্ত ঊর্বর। সবুজ মাটির গর্ভে অফুরন্ত সম্পদ। পানিতে আল্লাহ তায়াল অফুরন্ত সম্পদ রেখেছেন; এদেশের বাতাস অতি অনুকুল। না গরম না ঠান্ডা। ছোট এই দেশে বিপুল জনসংখ্যা দান করেছেন তিনি। জনসংখ্যাকে প্রশিক্ষণ না দেওয়া হলে তারা আপদে পরিণত হয়। যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করবো, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, ১৯৪৭ এবং ১৯৭১ সালে কিছু অঙ্গীকারের ভিত্তিতে আমরা দুইবার স্বাধীনতা অর্জন করেছি। যারা অঙ্গীকার করেছিলেন জাতিকে অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার; তারা কেউ সে অধিকার ফিরিয়ে দেয়নি, কথা রাখেনি। তারা জাতির সঙ্গে বেঈমানি করেছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এর পূর্ব পর্যন্ত যারা মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাকে নিজেদের বাপ-দাদার তালুক মনে করতেন, তারা চেতনার কথা বলে সেই তালুক লুন্ঠন করেছেন। গণহত্যা চালিয়েছেন। তাদের সন্তানেরা ধর্ষণের সেঞ্চুরি করেছেন। সাড়ে ১৫ বছরে তাদের লুন্ঠনের হিসেব বেরিয়েছে ২৬ লক্ষ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রে একটি প্রকল্প থেকে ৫৭ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। মেগা উন্নতির কথা বলে মেগা ডাকাতি করা হয়েছে। একটা পদ্মা ব্রীজ তৈরি করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়েছে তা দিয়ে ৪টা পদ্মা ব্রীজ করা যেত। তারা আবার বড় বড় কথা বলে। তারা লুটপাট করে বেগম পাড়ায় বাড়ি করেছে। এরা প্রত্যেকটা প্রকল্পে চুরি করেছে। ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করেছে। ডাকাত ‘এস আলম গ্রুপকে’ লেলিয়ে দিয়ে ইসলামী ব্যাংক ডাকাতি করেছে শেখ রেহানা। শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে লন্ডনের এমপি নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছেন। এখন তিনি দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত। সেখানে দুর্নীতি দমন কমিশন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এটা বাংলাদেশ এবং জাতির জন্য লজ্জাজনক হলেও তারা লজ্জা পেয়েছে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশ ছিল তাদের ইনকাম সোর্সের জায়গা। আর তাদের কলিজা ছিল অন্য দেশে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের সন্তান দেশে নেই। সবার ঠিকানা বেগম পাড়ায়। তারা দেশকে যদি ভালবাসতো তাহলে তারা দেশেই থাকতো।
শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে উল্লেখ করে আমীরে জামায়াত বলেন, শেষ করবে না কেন? তাদের সন্তানতো এদেশে লেখাপড়া করে না। তারা তিলে তিলে শিক্ষাব্যবস্থাকে নষ্ট করে জাতির মেরুদন্ডকে ধ্বংস করে দিয়েছে। চাকরি প্রার্থীরা কোটাজালে বন্দী; যা পৃথিবীর কোথাও নেই। বাকীটাও আওয়ামী লীগের দখলে। তাদের আনুগত্য না করলে কারো কপালে চাকরিসহ কোনো কিছুই জুটত না।
এই বৈষম্যের বিরুদ্ধেই আমাদের সন্তানেরা রাস্তায় নেমেছিল। তারা বলেছিল কোটা সংস্কার করো, বিলুপ্তি নয়। কিন্তু শেখ হাসিনা তাদের সাথে প্রতারণা করেছে আদালতের মাধ্যমে। ছাত্ররা দেখল তাদের সাথে ধোঁকাবাজি করা হয়েছে। তারা হেফাজতে ইসলামের অসংখ্য নেতাকর্মীকে খুন করেছে। তেমনটা করেও ছাত্রআন্দোলনকে দমন করতে পারেনি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলেছিল এই আন্দোলন দমন করতে কয়েক লক্ষ মানুষ মারতে হবে। দেখা গেল ক্ষমতার শেষ দিনও সেই চেষ্টা করেছিল। বলা হয়েছিল কয়েক কোটিও যদি হত্যা করতে হয় তাও তোমরা আন্দোলন দমন করো।
বাজারমূল্য মানুষের নাগালে আনার আহ্বান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এখনো আওয়ামী সিন্ডিকেট বিভিন্ন জায়গাতে বসে আছে। কেউ কেউ বলছে, পুরনো সিন্ডিকেটের জমিদারি নতুন জমিদারের হাতে চলে গেছে। আমরা বাজারে নতুন কিংবা পুরাতন সিন্ডিকেট দেখতে চাই না। মানুষের ওপর এই জুলুম বন্ধ করতেই হবে। সরকার যদি উদ্যোগ নেয়, আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে সরকারকে সাহায্য করবো।১৮ কোটি মানুষের ওপর আর অর্থনৈতিক শোষণ চালানো যাবে না। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আপনারা নামুন, ১৮ কোটি মানুষ আপনাদের সাথে নামবে ইনশাআল্লাহ।
চাঁদাবাজির কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে উল্লেখ করে জামায়াতের আমীর বলেন, ৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে। উপস্থিত জনতার কাছে তিনি জানতে চান যে, এখনো চাঁদাবাজি চললে এতগুলো জীবন দিয়ে কি লাভ হলো? আপনারা কি আবার দেশে চাঁদাবাজি দেখতে চান? মাঠ থেকে জবাব আসে না। আমরা চাঁদাবাজ ও দখলদার মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজ আর দখলদারীর কোনো অভিযোগ নেই।
আমাদের শীর্ষ নেতাদের কাউকে দেওয়া হয়েছে ফাঁসি আর কাউকে জেলের ভেতরে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়েছে। সর্বশেষ শিকার কুরআনের পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
তিনি আরও বলেন, গত জুলাই আগস্টে প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতার জীবন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ৩৪ হাজার মানুষ তারা জীবনের তরে পঙ্গু হয়ে গেছে। ৩শ’র বেশি মানুষ মেরুদন্ডে গুলির আঘাতে প্যারালাইজ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। জীবনে আর বসতে পারবে না, দাঁড়াতেও পারবে না। নিজের হাতে নিজের কাজ করতে পারবে না। এমনকি নিজের হাতে আল্লাহর দেওয়া রিজিক তুলে খেতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা আর এই দেশে মেজরিটি মাইনোরিটি শুনতে চাই না। আমাদের সংবিধান সবাইকে সমান অধিকার দিয়েছে। সংখ্যালঘু ভাইদের বলি যারা সংখ্যালঘু, মেজরিটি মাইনরিটির কথা বলে তারাই ৫৩ বছর আপনাদের কষ্ট দিয়েছে। আপনারা চিন্তা করে দেখুন। আমাদের কেউ এই অপকর্ম করেনি। অথচ দোষ দেয় আমাদের ঘাড়ে। কোথাও কিছু হলেই যত দোষ নন্দ ঘোষ। কিন্তু একটাও প্রমাণ করতে পারেনি। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে নারীদের অধিকার এবং সম্মান নিশ্চিত করবে। কাউকে জোর করে বোরকা পড়াবে না। অন্য ধর্মের মা বোনরা তাদের মতো করে পোশাক পড়বে। বাধ্য করা হবে না। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করবে। এমন পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে, তাতে সবাই গর্ববোধ করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সেই দেশের জন্য লড়াই করছি। বিশে^র বুকে একটি ঈর্ষণীয় দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আর আমরা আমাদের ছাত্র সমাজকে কথা দিচ্ছি, তোমাদের হাতে এমন শিক্ষার মান তুলে দেওয়া হবে যে, বেহুদা সার্টিফিকেট নিয়ে এদ্বারে ওদ্বারে ঘুরা লাগবে না। তোমাদের শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে আসার সাথে সাথে ন্যায্য পাওনা বা কাজ তোমাদের হাতে উঠে যাবে। প্রত্যেক যুবক-যুবতির হাতকে আমরা দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়তে চাই।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগের পলায়নের পর একজন বিচারপতিকে সিলেটের জঙ্গলে পাওয়া গেছে। তিনি ফাঁসির আদেশ দিয়ে টকশো’তে আস্ফালন করে বলতেন ওমুককে ফাঁসি দিয়েছি। তারা তখন বিচারের নামে তামাশা করেছে। তারা অপরাধ করেছে। জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।
তিনি শেখ হাসিনার পরিণতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ভাত রান্না করে খেতে পারেননি। না খেয়েই পালিয়েছেন। এখনো মানুষের জান-মালের ইজ্জতের নিরাপত্তার বিধান হয়নি। শেখ হাসিনা মামুবাড়ি পালিয়েছে তিনি আর ফিরবেন না। দেশের মানুষ আর তাকে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে দেবে না। দেশের মানুষ এবার জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। দেশে ইসলামের জোয়ার শুরু হয়েছে। সব দল দেখা শেষ, এবার জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ। এই স্লোগান উঠেছে সারাদেশে।
জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, জামায়াত প্রতি জেলায় কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে জনগণকে আশ^স্ত করতে চায় যে, গত ৫৩ বছরে যেভাবে মানুষ বঞ্চিত হয়েছে, শোষিত হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে; ইসলামের ছায়াতলে এলে তা হবে না। জামায়াতের নেতৃত্বে একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র গড়া হবে। কোরআনের রাজ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
অধ্যক্ষ মো.শাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা ১৬ বছর রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি। আমাদের স্থান ছিল জেলখানা আর জঙ্গলে। আমাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। জনগণ ভোট চোর সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে।
অধ্যক্ষ খন্দকার আলী মুহসিন বলেন, ফ্যাসিস্ট চোর সরকার কখনো মানুষের কল্যাণ ও সফলতা দিতে পারে না। তারা সর্বত্র চুরি করে দেশকে ধ্বংস করেছে। আগামিতে জনগণ জামায়াতকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।
মাওলানা আব্দুল মতিন বলেন, কুরআনের আাইন চালু হলে সব শ্রেণি পেশার মানুষ সুখ-শান্তি ও কল্যাণ লাভ করবে। জামায়াতে ইসলামী ভারতের গোলামি করতে চায় না।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাসেম বলেন, কুষ্টিয়ার জনগণ বৈষম্যহীন দেশ গঠনের সঙ্গে আছে। কুরআনের বাংলাদেশ দেখতে হলে কুষ্টিয়ার ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। একইসাথে শীত উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করায় কুষ্টিয়াবাসীকে ধন্যবাদ জানান।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স